বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

আপডেট
দুর্নীতির বিনিময়ে মসজিদের জন্য নেন ১০ লাখ টাকা অনুদান নেন দুদক কর্মকর্তা! আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থাকছে না সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে একবারে ভোটগ্রহণের প্রস্তাব সাবেক সিইসি রউফের দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকরা, বন্ধ যান চলাচল জেনারেল ওয়াকারের সঠিক সিদ্ধান্তে সশস্ত্র বাহিনী আবারও আস্থার প্রতীক
কলেজছাত্র হত্যায় জড়িত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

কলেজছাত্র হত্যায় জড়িত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরে ডেকে নিয়ে কৌশলে অপহরণ করে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবির পর না পেয়ে বাঙলা কলেজছাত্র নূরুল আমিন তপুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্যা।

এদিন সকালে কারাগারে আটক আসামি আরিফুল ও ইমরানকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে পলাতক থাকায় অপর আসামি ইয়ামিন উপস্থিত ছিলেন না। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক ইয়ামিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলা সূত্র জানা গেছে, কলেজছাত্র তপু নিখোঁজের পর ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি তার চাচা দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর মুক্তির জন্য তার চাচার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর তিনি দারুসসালাম থানায় আবার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের জোনাল টিম। ঘটনার দুদিন পর ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি রাজধানীর দারুস সালাম, মিরপুর মডেল ও শাহআলী থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ইমরানের মিরপুর বেড়িবাঁধের জহুরাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় তপুকে ডেকে এনে কৌশলে অপহরণ করেন। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে ইমরানের বাসাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ভুক্তভোগীর মরদেহ বস্তাবন্দি করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন। আসামির হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে দীর্ঘ শুনানির পরে আজ (মঙ্গলবার) আলোচিত এই অপহরণ ও হত্যা মামলার রায় হলো।

রায় ঘোষণার সময় নিহত তপুর চাচা মামলার বাদী শফিউদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আশায় ছিলাম। ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। কাঙ্খিত রায় পেয়েছি। তাই আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। আশা করছি, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে।।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |